এশিয়া কাপে ভারত বধের নেপথ্যে ছিলেন যে ভারতীয়

একটানা পাঁচ ম্যাচ জিতে ইতিহাস তৈরি করলেও কুঁড়ি ওভারের ক্রিকেটে একদমই ম্লান ছিলো বাংলাদেশ প্রমীলা জাতীয় ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্স। মাসখানেক আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে টানা আট পরাজয়ের স্বাদ নিয়ে আসা টাইগ্রেসরা হঠাত করেই যেন পেলো জাদুর কাঠির ছোঁয়া। ভারতের মত পরাশক্তিকে হটিয়ে অসাধ্যটা ঠিকই সাধন করে দেখিয়েছে সালমা-জাহানারারা। তবে এর পিছনে সেই জাদুর কাঠি হয়ে কাজ করেছেন এক ভারতীয়।

মেয়েদের এশিয়া শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইতে আগের ছয় টুর্নামেন্টের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন ভারতের মেয়েরা। সেই পরা শক্তি ভারতকে হারিয়ে প্রথম বারের মতো বাংলাদেশকে এশিয়া কাপ জয়ের গৌরবে ভাসিয়েছে বাংলার মেয়েরা। মালয়েশিয়ার কিনরারা ওভাল স্টেডিয়ামে শক্তিশালী ভারতকে ৩ উইকেট হারিয়ে শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। প্রতিযোগিতার গ্রুপপর্বেও ভারতকে ৭ উইকেটে হারায় মেয়েরা। গ্রুপপর্বে পাকিস্তানও হারে বাংলাদেশের মেয়েদের কাছে।

সেই অর্জনের পিছনের কারিগর হিসাবে কাজ করেছেন সদ্য দায়িত্ব পাওয়া বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ অঞ্জু জাইন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভরাডুবির পর মাত্র তিন সপ্তাহ আগে এই দলটার দায়িত্ব নিয়েছেন ভারতীয় মহিলা দলের সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ও কোচ অঞ্জু জেইন।
অঞ্জু জেইন

তাইতো দায়িত্ব পেয়েই এমন অর্জনে উচ্ছ্বসিত এই ভারতীয়। এক সাক্ষাৎকারে আঞ্জু বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের জন্য যেমন বিশাল অর্জন, তেমনি আমার জন্যও অনেক কিছু।’

কিছুদিন আগেই প্রোটিয়াদের মাটিতে আটটি ম্যাচেই হার মেনেছিল বাংলাদেশ। এমন দুঃসময়ে গত ২১ মে দায়িত্ব নিয়েছিলেন অঞ্জু। তার কোচিংয়ে ২০১২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং পরের বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছিল ভারতের নারী দল।

দেশের বাইরে এটাই অঞ্জুর প্রথম দায়িত্ব। শুরুতে বেশ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল তাকে। সেসব কথা জানিয়ে অঞ্জু বলেন ‘বাংলাদেশ দলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বেশি চিন্তা-ভাবনা করিনি। শুরুতে দলটা বেশ অগোছালো ছিল। আমি তাই দলের মনোবল বৃদ্ধির চেষ্টা করেছি সবার আগে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরার পর দলের সমস্যা সমাধানে জোর দিয়েছি।’

সদ্য দায়িত্ব নিয়েই সালমার দলের এমন অর্জনে দারুণ খুশি হয়ে এই ভারতীয় বলেন, ‘আমার সামনে বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল। মেয়েদের জন্যও টুর্নামেন।

অঞ্জু জেইন বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) ‘লেবেল-বি’ সম্পন্ন করা কোচ। এতদিন তিনি বিদর্ভ মহিলা দলের কোচ হিসেবে কাজ করছিলেন। বাংলাদেশে কাজের জায়গা নতুন হলেও এক সময়কার জাতীয় দল সতীর্থ দেবিকা পালশিকারকে পাচ্ছেন ৪৩ বছর বয়সী অঞ্জু। এ ছাড়াও ফিজিও হিসেবে আছেন একই দেশের অনুজা দালভি।